‘চুল তার কবেকার, অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য’। কবি জীবনান্দ দাশের বিখ্যাত কবিতা।চুলের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি আগা ফেটে যাওয়া। যেভাবেই যত্ন নেওয়া হোক না কেন, কিছুদিন পর এই সমস্যা আবারো দেখা দেয়।বার বার ফিরে আসে এই সমস্যা। তখন চুল শুষ্ক, নির্জীব ও রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলের বৃদ্ধিও থেমে যায়। অনেকে প্রাথমিক সমাধান হিসেবে চুল ট্রিম করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এই সমস্যার মূল কারণ অপুষ্টি এবং অযত্ন। প্রথমে এই দুটি বিষয়ে সচেতন হলে চুলরে আগা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এবং প্রাকৃতিক অনেক উপাদানই চুলের আগা ফাটা সমাধানে কার্যকরী। নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক খাওয়াদাওয়া সহজেই এই সমস্যাকে কাবু করতে পারে। কিছু সাধারন যত্ন ও ঘরে তৈরি হেয়ার মাস্কও হতে পারে সমাধান।
১) কলা
প্রথমেই চুলের পুষ্টির জন্য কলার কথা বলব। কেননা কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন সি, এ এবং ই। যা চুলের ময়েশ্চারাইজা়র ধরে রাখে এবং চুলের ডগা ফাটা রোধ করে। তাই নিয়মিত কলা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া একটি পাকা কলা, দুই চামচ টক দই, এক চামচ গোলাপজল ও আধা চামচ লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন চুল ফাটা কমে যাবে।
২) মসুরের ডাল
মুসরের ডাল রূপচর্চা ও শরীরচর্চা উভয় কাজেই লাগে। এটি যেমন মুখের ত্বকের জন্য উপকারী তেমনই এটি মাথার ত্বকের জন্যও খুব ভালো। রাতে একটি পাত্রে খানিকটা মুসুর ডাল ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পাটায় কিংবা ব্লেন্ড করে নিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ মেথি গুঁড়ো ও এক কাপ টক দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩)অ্যাভোকাডো প্রোটিন মাস্ক:
একটা অ্যাভোকাডো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে, এর সঙ্গে একটা ডিম ফেটিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে এমনভাবে অলিভ অয়েল মেশাতে হবে, যাতে এটি কন্ডিশনারের মতো ঘন হয়। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
৪)কোকোনাট মিল্ক মাস্ক:
কিছু পরিমাণ টাটকা নারকেলের দুধ নিয়ে পুরো মাথার তালুতে এবং চুলের ডগায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে নিন।