সম্পর্কের ভিত হলো বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাস যদি না থাকে তাহলে সেই সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। যত দ্রুত বিশ্বাস ভাঙবে তত তাড়াতাড়ি সেই সম্পর্কে পতন ঘটবে। এইবার সেই বিশ্বাসের অভাবেই ভেঙে যেতে চলেছে একটি সদ্যবিবাহিত সম্পর্ক। ফুলশয্যার পরের দিনই নিজের সম্পর্কের ইতি টানতে চলেছে অনির্বাণ। বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় রমরমিয়ে চলছে মিঠিঝোড়া (MithiJhora)।
ইতিমধ্যেই দর্শকরা দেখেছেন, নিজের পরিবারকে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাতে না যেতে হয় সেই জন্য বাবার মৃত্যুর পর নিজের বোনের সাথে নিজের ভালোবাসার মানুষের বিয়ে দিয়ে নিজে পরিবারের বড় ছেলের দায়িত্ব পালন করছিল রাই। সেই মুহূর্তে তাকে কেউ বোঝার চেষ্টা করেনি। সবাই তাকে কেবল দোষারোপ করেছে। যদিও সেই দিন অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছে রাই। আর তারপরে ক্ষণিকের জন্য হলেও তার জীবনে সুখের জোয়ার এসেছে।
অনেক বাধা বিপত্তি পার করে, নিজের মেজ বনের বারংবার নানা রকমের বাজে পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে চার হাত এক করেছে রাই আর অনির্বাণ। তাদের বিবাহিত জীবন যাতে সুখের হয় তার জন্য প্রার্থনা করেছে রাইয়ের পরিবার। তবে অনির্বাণের মা-বাবা রাইকে মেনে নিতে পারেনি। যদিও অনির্বাণের মতে এটা কোন বিষয়ই নয় কারণ তার মা বাবা তার সঙ্গে সারা জীবন থাকবে না।
এর আগে শুধুমাত্র নীলাঞ্জনার কথায় এবং ডোরা আর টিকলুর প্ররোচনায় রাইকে ভুল বুঝেছিল অনির্বাণ। সেই ভুল বোঝাবুঝি গড়িয়েছিল অনেক দূর। বারবার নিজের চাকরি ছাড়তে চেয়েছে রাই। যখন এই সমস্যাটা মিটে ছিল তখন অনির্বাণ রাইয়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল, সে কোনদিনও রাইকে ভুল বুঝবে না। অবিশ্বাস করবে না। কিন্তু নিজের কথা রাখতে পারল না অনির্বাণ।
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের প্রচার ভিডিওতে দর্শকরা দেখেছেন, ফুলশয্যার রাতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেওয়া উপহারের বাক্স খুলে চমকে যায় রাই আর অনির্বাণ। এক চরম অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে রাইয়ের দিকে তাকায় সে। রাই বলে, সে এই বিষয়ে কিছুই জানে না। কিন্তু অনির্বাণ সেটা বিশ্বাস করতে পারে না। তবে কি ফুলশয্যার পরের দিনই ভেঙে যাবে রাই অনির্বাণের সম্পর্ক? পরিণতি পাওয়ার পরেও কি সুখী হতে পারবে না তারা? কি মনে হয় দর্শক মহলের?