তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে নজর বিজেপি। সম্প্রতি লোকসভা ভোটের আগে আইএসএফ নেতা ও সংখ্যালঘু মুসলিম বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতার হয় । গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আপনারাই তো এই সরকারকে এনেছেন। এখন আপনাদেরই ঠিক করতে হবে একে রাখবেন না সরাবেন।’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আজ নওশাদ ইস্যুতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বার্তা দিতে গিয়ে এই অঙ্ককেই সামনে আনলেন বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, “বেশি নয়, মাত্র ১০ শতাংশ ভোট কমে গেলেই এই সরকার আর থাকবে না।’ বিগত বিধানসভা ভোটে ৪৭. ৯৪ শতাংশ ভোটের সুবাদে ২১৩টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। আর ৩৮.১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ৭৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। মাত্র ১০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল রাজ্যে সরকার গঠন করে। সংখ্যালঘু নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে। মুসলিম ধর্মীয় প্রধানদের কাছে গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করতে দেখা গিয়েছে আরএসএস- এর শীর্ষ নেতা মোহন ভগবৎকে।
দলীয় সাংসদদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে মুসলিমদের যে বঞ্চিত করেনি মোদি সরকার, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বোঝাতে হবে মুসলিমদের। বোঝাতে হবে, এদেশের রাষ্ট্রবাদী মুসলিমদের বিজেপি শত্রু বলে মনে করে না। প্রকৃতপক্ষে, লোকসভা ভোটে দলকে ক্ষমতায় ফিরতে গেলে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ছাড়া যে সম্ভব নয়, সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদী।
এই আবহে, আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির দল ও তাঁর নীতির বিরোধী হয়েও, নওশাদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি।
রাজ্যের ক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে সরাতে গেলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে হবে। ২০১৪ থেকে সেই লক্ষ্যে নানা কৌশল নিলেও সফল হতে পারেনি বিজেপি। ২০২১- এর বিধানসভা ভোটে রাজ্যে মোট অ-মুসলিম ভোটের ৫৪ শতাংষ পেয়েছিল বিজেপি। সিংহভাগ হিন্দু ভোট পেয়েও বিজেপিকে বিরোধী বেঞ্চে বসতে হয়েছে। আর, ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি একা পেয়ে সরকার করে ফেলেছে তৃণমূল।