কুর্নিশ! কোটি টাকা নয়, বাংলা সিনেমায় গান গাইতে মাত্র ১১ টাকা পারিশ্রমিক চাইলেন অরিজিৎ! আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি ‘মাটির মানুষ’

অরিজিৎ সিং (arijit singh), যার কনসার্টের টিকিটের দাম হাজার ছাড়িয়ে লক্ষ্যের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে। যাকে একবার দেখার জন্য প্রাণপাত করতে রাজী তাঁর অগণিত ভক্তকূল। যার এটা গানই যথেষ্ট, তাঁকে চেনার জন্য। আর সেই অরিজিৎ সিং কিনা বাংলা চলচ্চিত্রের গানের জন্য পারিশ্রমিক নিলেন মাত্র ১১ টাকা!

হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। তবে টাকাটা এখনও তিনি নেননি। পরে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। প্রথমটায় কোন পারিশ্রমিক নিতেই চাননি এই বিখ্যাত গায়ক, কিন্তু পরবর্তীতে নাকি সঙ্গীত পরিচালকের জোরাজুরিতে এই পারিশ্রমিক চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় গীতিকার এবং পরিচালক কবি শ্রীজাত (Srijat)।

বিষয়টা হল, সম্প্রতি শ্রীজাতর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মানবজমিন’-এ একটি গান গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’ এই রামপ্রসাদী গানটি অরিজিতের কেরিয়ারেরও প্রথম রামপ্রসাদী গান। সেইজন্য তিনি নাকি প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েই গিয়েছিলেন বলে জনান শ্রীজাত। কিন্তু পরবর্তীতে এই গান গাইতে রাজী হন গায়ক।

ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্রের এই গান মন ছুঁয়ে গিয়েছে প্রতিটি মানুষের। আর এই গানের জন্য নাকি প্রথমে কোন পারিশ্রমিকই নিতে চাননি অরিজিৎ সিং। এবিষয়ে শ্রীজাত জানান, ‘এই গানটা সম্পূর্ণ হওয়ার পর ওঁর কাছে পারিশ্রমিকের বিষয়ে জানতে চাইলে, অরিজিৎ বলে ”না তোমার থেকে আমি পারিশ্রমিক নিতে পারব না”। তারপর ওকে জোরাজুরি করতে ও বলে ঠিক আছে ১১ টা দিও’।

অরিজিতের থেকে এমন কথা শুনে আবারও অবাক হয়ে যান শ্রীজাত। তিনি বলেন, ‘সোনি এন্টারটেইনমেন্ট এই গানটি কিনছে, তো তাঁদেরকে পারিশ্রমিকের বিষয়ে কি বলব?’ তখন নিরুপায় হয়ে অরিজিৎ বলেন, ‘আমার যে বাচ্চাদের স্কুলটা আছে, তোমার যা দেওয়ার সেটা ওখানে দিও। তাহলে সেই অর্থ দিয়ে ওঁদের পুজোর জামা হয়ে যাবে’।

খ্যাতির শীর্ষে থেকে আকাশ ছোঁয়ার ক্ষমতা থাকলেও, অরিজিৎ যে নিছক একজন ‘মাটির মানুষ’ তা আবারও তিনি প্রমাণ করলেন। তবে এখানেই শেষ নয়।, গ্রীষ্মকালে নাকি একবার তিনি শ্রীজাতর বাড়িতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে শ্রীজাতকে এসি চালাতে দেখে অরিজিৎ বলেছিলেন, ‘একি করছ শ্রীজাতদা, এসি চালাচ্ছো কেন? ছোট থেকে তুমি কি এসিতে বড় হয়েছ? তাহলে এখন লাগছে কেন? শুধু শুধু অর্থ অপচয় করছ কেন?’

অরিজিৎ সিং-র এই সকল ব্যবহার থেকেই বোঝা যায় কতোটা মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন তিনি। এমনকি নিজের গ্রাম মুর্শিদাবাদে গিয়ে নাকি খুবই সাধারণভাবেই জীবন যাপন করেন তিনি, এমনটাও শোনা গিয়েছে। তাঁকে খুব সাধারণভাবেই নাকি রাস্তাঘাটেও দেখা যায়।

Latest articles

Related articles