করোনাভাইরাস মহামারীর কারনে চাকরির বাজারের পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে যে পাল্টে গেছে তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কর্মসংস্থানের বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়েছে অনেকটাই। আবার অনেক বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটায়ের মতন ঘটনাও ঘটেছে। এমন অবস্থায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে শিক্ষার্থী সহ যারা কর্মসংস্থান খুজছেন তাদের মধ্যে। তবে এবার তাদের জন্যই সুখবর। যারা রোজকার করতে চান তাদের জন্য স্টেট ব্যাংক করে দিচ্ছে এক দুর্দান্ত সুযোগ।
সম্প্রতি এসবিআই এমন একটি প্রকল্প চালু করেছে যার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ৬০০০০ টাকা রোজগার করতে পারবেন খুব সহজেই, আর এর জন্য আপনাকে করতে হবে একটি ছোট্ট কাজ। চলুন জেনে নিন বিস্তারিত।
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কাজ করে রোজকার করতে চাইলে আপনাকে প্রথমেই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হবে। এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে আপনার আবাসিক এলাকায় একটি খালি জমি থাকতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার এটিএম ইনস্টলেশন এর জন্য আবেদন জানাতে পারবেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে।
SBI এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণের শর্ত-
SBI এটিএম এর ফ্রাঞ্চাইজি নিতে গেলে আপনার কাছে মোটামুটি ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুটের মত জায়গা থাকতে হবে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অন্য একটি এটিএম থেকে আপনার জমি দূরত্ব হতে হবে অন্ততপক্ষে ১০০ মিটার।
জায়গাটি হতে হবে স্পেস গ্রাউন্ড ও জায়গাটির দৃশ্যমানতা ভালো হতে হবে।
আবশ্যিকভাবে ২৪ ঘন্টা পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে এই জায়গায় এবং এক কিলো ওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কানেকশন থাকতে হবে।
এটিএম-এ প্রতিদিন ৩০০ টি লেনদেনের ক্ষমতা থাকতে হবে
এটিএম এর জায়গায় কংক্রিট নির্মিত ছাদ থাকতে হবে।
রাখতে হবে সোসাইটি এবং অথোরিটির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট।
SBI এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
আইডি প্রুফ- আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড
এড্রেস প্রুফ- রেশন কার্ড, ইলেকট্রিসিটি বিল
ব্যাংক একাউন্ট এবং পাসবুক
ফটোগ্রাফ, ইমেইল আইডি এবং ফোন নাম্বার
জি এস টি নাম্বার, ফিন্যান্সিয়াল ডকুমেন্ট।
অন্যান্য কোনো ডকুমেন্ট থাকলে অ্যাড করবেন।
আবেদনের পদ্ধতি-
SBI এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি প্রদান করা কোম্পানিগুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে অনলাইন আবেদন করতে পারেন।
ভারতের এটিএম তৈরি করার কন্টাক্ট মূলত তিনটি কোম্পানি রয়েছে- টাটা ইন্ডিক্যাশ, মুথুট এটিএম, ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম।
এই তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবথেকে পুরনো tata indicash, এর এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হলে দু লাখ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে যা রিফান্ডেবল। ৩ লক্ষ টাকার ব্যাংকিং ক্যাপিটাল হিসাবে জমা করতে হবে এভাবে সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হবে ৫ লক্ষ টাকা।
আর এটিএম গ্রহণ করলে প্রতিটি ক্যাশ লেনদেন থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৮ টাকা করে। আর নন ক্যাশ লেনদেন থেকে পাবেন ২ টাকা করে। অর্থাৎ সারা বছরে রিটার্ন পাবেন ইনভেস্টমেন্টের ৩৩ থেকে ৫০ শতাংশের মতো। অর্থাৎ আপনার এটিএমে যদি প্রতিদিন 500 টি করে লেনদেন হয় তাহলে আপনার প্রতি মাসে আয় হবে 88-90 হাজার টাকা। অর্থাৎ একবার নিবেশেই ব্যাপক রিটার্ন।