তুরস্ক এবং সিরিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ এবং মৃত্যুর ব্যাপকতা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছে। ভূমিকম্পে সোমবারের পর মঙ্গলবারেও অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬০০০ এর গণ্ডি। এর আগে,সোমবার ভোররাতে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্ক এবং সিরিয়ার উত্তর ভাগে। তবে, অন্ধকারের মধ্যে আছে আশার আলো। মৃত্যুর মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসেছে বেঁচে থাকার এক অবিশ্বাস্য গল্প। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় একটি ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার পরেও এক নবজাতক শিশু প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পরেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। নবজাতক ওই কন্যা সন্তানের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পরপরই তার মা সন্তান প্রসব করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের পর এক ব্যক্তি ওই শিশুটিকে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার জিন্দারিস নামক একটি শহরের একটি ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে শিশুটিকে পাওয়া গেছে।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোগান মঙ্গলবার দুটি ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০ টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এই ভূমিকম্পের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তুরস্কে প্রায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এরদোগান ইতিমধ্যেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের ১০ টি প্রদেশকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সেখানে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেন। উল্লেখ্য, এটি সরকারকে নতুন আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংসদকে বাইপাস করতে হবে এবং মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা সীমিত বা স্থগিত করার ক্ষেত্রে অনুমতি দেবে।
এরদোগানকে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেছেন যে, সরকার শক্তিশালী ভূমিকম্প দ্বারা প্রভাবিত লোকদের অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য আন্টালিয়ার পর্যটন কেন্দ্রে হোটেল খুলবে। এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতেও আঘাত করেছিল। সেখানেও মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১ হাজার ৭১২।
ভারতে অবস্থিত সিরিয়ার দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বাসাম আলখাতিব বলছেন,’বহু জায়গা এখনও বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও পর্যন্ত শেষ ৫ মিনিট ধরে আমি অনেক কয়টি ফোন কল করেছি। এটি ৮৫০টির বেশি মৃতের সংখ্যা। হাজারের মতো আহত ভূমিকম্পের জেরে। ‘