চলতি সময়ে জি বাংলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি। প্রতি সপ্তাহেই গল্পে আসছে একের পর এক নতুন মোড়। দর্শকদের মনেও ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকটি তৈরি করছে উত্তেজনা। ফুলকির আসন্ন পর্বে কি হতে চলেছে সেটা জানার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন অনেকেই। কিছুদিন আগেই রোহিত-ফুলকির বিয়ে নিয়ে হয়েছে মহা ধামাকা। তারপরেই নবাবগঞ্জে ধেয়ে আসে দুঃসময়।
প্রবল বর্ষণে জলাময় নবাবগঞ্জ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নবাবগঞ্জের একাংশ মানুষকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন পল্লব রায়চৌধুরী। তবে তারই মাঝে কারসাজি শুরু করে রুদ্র। উধাও করে দেয় সরকার থেকে আসা ত্রাণের গাড়ি। যদিও প্রতিবারের মতোই রুদ্রর কারসাজি ধরে ফেলে ফুলকি দাস। সাধারণ মানুষদের নিয়ে গিয়ে রুদ্রর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে সে।
ইতোমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে ফুলকির কান্ড দেখে ফুলকিকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় লাবু। ধর্নায় যোগ দেয় সেও। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শেষমেশ তিওয়ারিকে দিয়ে ত্রাণের ট্রাকগুলো নিয়ে আসে রুদ্র। রুদ্রর কাজ দেখে ফুলকিও বুঝে যায় এই সব কিছুর পিছনে আছে রুদ্ররূপ সান্যাল। তবে এত বড় অপমান কোনভাবেই হজম করে উঠতে পারেনি রুদ্র। এমনকি তিওয়ারিও তাকে বলে এসব হয়েছে শুধু ফুলকির কারণে।
রুদ্র তিওয়ারিকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে ত্রাণের সব গাড়ি ভগবানপুরেই ছিল আর সেটা শুনেই নতুন পরিকল্পনা করে নেয় রুদ্র। তখনই রুদ্রর সঙ্গে দেখা করতে রুদ্রর অফিসে চলে আসে রুদ্রর তুরুপের এক্কা শালিনী মিত্র। যদিও এবার এসে সেও অপমান করে রুদ্রকে। তারপর রুদ্র শালিনীকে থামিয়ে বলে তার কাছে একটা বড় পরিকল্পনা করেছে যেটাকে হাতিয়ার করে সে ফুলকির খেল খতম করতে পারবে। এরপরই সমস্ত পরিকল্পনা শালিনীকে বলে দেয় রুদ্র।
বাড়িতে ফিরে রোহিত আর ফুলকির ঘরের সামনে আড়ি পাতার চেষ্টা করে শালিনী। যদিও শালিনীকে দেখে নেয় রোহিত। তারপর এইভাবে আড়ি পাতার জন্য শুনিয়ে দেয় দু’চারটে কথা। তবে সকলকে চমকে দিয়ে শালিনী বলে সেও সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চায়, তাই আগামীকাল তাদের সঙ্গে যেতে চায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার জন্য। কথাটা শুনে যদিও খটকা লাগে ফুলকির। তবে রোহিত ফুলকিকে শান্ত করে বলে সে আর শালিনীকে বিশ্বাস করে না। সে এখন সবটা বুঝে গেছে। এই বলেই ফুলকিকে ঘুমিয়ে পড়ার কথা বলে রোহিত। তবে কী এবারই শালিনীর সাহায্য ফুলকির ক্ষতি করতে রুদ্র? জানতে হলে মিস করবেন না ফুলকি।