আবহাওয়া: চিরবিদায় শীতের! ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা বিদায় আসন্ন, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

মাস শেষের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গে শীতও প্রায় নেই বললেই চলে। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। শহর কলকাতায় ক্রমাগত বাড়ছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে শীতের বিদায়ু মোটামুটি নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছে। শহর থেকে শীতের সমস্ত আমেজ প্রায় উধাও বলা চলে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে শীতের প্রত্যাবর্তনের কোনও সম্ভবনাই নেই। শহর কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় কার্যত উধাও বলেই চলে।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি আগামী ৪-৫ দিন আবহাওয়া এমনটাই থাকবে। এদিকে, পশ্চিমের জেলায় সকালে এবং রাতের দিকে শীতের হালকা আমেজ থাকলেও, কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় শীতের আমেজ থাকবে না। 

শহর কলকাতায় সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। আজ কলকাতায় দিনে এবং রাতে শীত অনুভূত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির মধ্যেই থাকবে। উল্লেখ্য, দিনের তাপমাত্রার নিরিখে গত ১০ বছরের মধ্যে কাল উষ্ণতম সরস্বতী পুজো ছিল। 

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রাও আজ থেকে বাড়তে পারে। জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। সেখানেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। বিহার সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশা সম্ভাবনা। সপ্তাহের শেষ দিকে পার্বত্য এলাকার আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে উত্তরবঙ্গের। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পাস করার সময় দার্জিলিং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় এবং সিকিমে খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই এই দুরাবস্থা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে। আবার আজ দুপুরে আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে। এর সঙ্গে আছে দুটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। একটি রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায়। অন্যটি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু ও সংলগ্ন এলাকায়। একটি অক্ষরেখা রয়েছে যেটি উত্তর-পূর্ব আরব সাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তর প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে কোনোভাবেই দক্ষিণবঙ্গে শীতল বাতাস ঢোকার রাস্তা নেই।

Latest articles

Related articles