সময় শেষ। বাজল রেফারির লম্বা বাঁশি। ব্যবধান কামতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে ভাল খেলেও বিরতির পর ক্রমশ হারিয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। অন্যদিকে, বাজিমাত করল সবুজ-মেরুন শিবির। সম্মানের লড়াইয়ে জিতল ২-০ গোলে। গোল করলেন রয় কৃষ্ণ ও মনবীর সিংহ। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়ে আইএসএলের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল হাবাসের দল।

ডার্বি মানেই বাঙালির মনে উত্তেজনার পারদ আকাশছোঁয়া। ডার্বি মানেই পশ্চিমবঙ্গ সবুজ-মেরুণ ও লাল-হলুদে আচ্ছাদিত। ডার্বি মানেই ৯০ মিনিট দুই বাংলা ক্লাবের ভক্তরা একে অপরের জাত শত্রু। এই সময়ে দুই দলের মোট বাইশজন মাঠে খেললেও, প্রায় প্রত্যেক বাঙালির চোখ আটকে থাকে ওই একটা বলের উপর। যার পায়ে বল লেগে গোলে জড়াবে সেই হবে ডার্বির নায়ক। আর কালকের ডার্বির নায়ক মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণ ও মানবীর সিং, তাদের অনবদ্য গোলে ইস্ট বেঙ্গল কার্যত মাথা নত করেই বাধ্য হলো হার স্বীকার করতে। এবারেই সপ্তম আইএসএল বাংলার দুই দলের আত্মপ্রকাশ। আর প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজেদের জাত চিনিয়ে চলেছে দুই বারের আই লিগ জয়ী দল মোহনবাগান। অপরদিকে খানিকটা ফিকে লাগছে ইস্ট বেঙ্গলকে। কালকে ৪৯ মিনিটে রয় কৃষ্ণার গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান, তারপর ৮৫ মিনিট মানবীরের গোল ম্যাচের শেষ পেরেক পুঁতে খেলা শেষ করে।
কাল আই এস এলের প্রথম ডার্বি জয়ের আনন্দে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত সমস্ত মোহনবাগান ভক্তরা। সবাই নিজেদের মতো করে উৎযাপন করছে এই জয়। এরকমই কালকের জয় মহা সমারোহে পালন করলো হরিপাল মেরিনার্স। হরিপালের এই ক্লাব ইতিমধ্যেই খুব বিখ্যাত মোহনবাগানপ্রেমি হিসেবে। তবে এই জয়ের মধ্যেও তারা ভোলেনি ফুটবলের রাজপুত্রকে। স্বর্গীয় মারাদোনার স্মৃতিতে নীরবতা পালন করেন এক মিনিট। তারপর তারা খুবই সুশৃঙ্খল ভাবে পালন করেন কালকের এই জয়। রইলো তারই কিছু মুহূর্তের ছবি…