করোনা কাটিয়ে চলতি বছরে গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরালো করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সাগর মেলায় নজরদারিতে নেওয়া হচ্ছে অভিনব উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সহজেই যে কোন বিশৃঙ্খলা আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিপুলসংখ্যক ভিড় হলে অথবা কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেই যাবতীয় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে চালানো হবে নজরদারি। জানা গিয়েছে সাগরদ্বীপে আসার সমস্ত পরিবহন মাধ্যমে লাগানো থাকবে জিপিএস ট্র্যাকার। এর মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার মোকাবিলা করাও অনেক সহজ হবে বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে হোগলা পাতার অস্থায়ী আস্তানা। সেখানে যাতে কোনোভাবে আগুন লেগে বিপদ না ঘটে তার জন্য সেই ছাউনিতে ছড়ানো হচ্ছে অগ্নি নিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য। এছাড়াও সবরকম ভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দমকল বাহিনীকে। একই সঙ্গে নদীর পাড় বাঁধাই এর কাজও চলছে পুরোদমে।
আগামী ৮-১৫ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে ইতিমধ্যে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায় দফায় দফায় সাগরে এসেছেন। পরিদর্শন করে মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন। মেলার বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সাগরের বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা গত একমাস ধরে বার বার মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন।
এবারে স্বাস্থ্যপরিসেবার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ট্রান্সলেট পয়েন্ট থেকে মেলা চত্বর পর্যন্ত ৩৭ টি ফার্স্ট এইড সেন্টার খোলা থাকবে।পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হবে। ১০০ জন চিকিৎসক-সহ বিভিন্ন স্তরে ৭০০-রও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন থাকবেন। এছাড়া, গুরুতর অসুস্থদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে আনতে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সও রাখা থাকবে।মেলা জুড়ে বসানো হয়েছে ১০০ টি সিসিটিভি।