সবার সম্মতি নিয়েই তবে বিয়ে করতে চায় জি বাংলার মিঠিঝোড়া ধারাবাহিকের নায়িকা রাই। তাই জন্যই সবার কাছে সবটা জানিয়ে সম্পূর্ণভাবে রাইকে নিশ্চিত করে অনির্বাণ। খুব তাড়াতাড়ি একে অপরের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছে তারা। তাদের বিয়ে কি এত সহজে মেনে নেবে নিলাঞ্জনা? জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বগুলি।
ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, অনির্বাণ আর ধারাবাহিকের নায়িকা রাইয়ের মাঝে যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছিল সেটা দূর হয়ে যায়। আর এই কাজে তাদের সাহায্য করে স্রোত। কিন্তু এই মুহূর্তে মহা বিপাকে পড়েছে স্রোত। কারণ তার প্রিয় আঙ্কেল অর্থাৎ সার্থকের বাবা একটা অন্যায় আবদার করে বসেছে। তার আবদার সার্থকের সাথে নাকি বিয়ে করতে হবে স্রোতকে। যে মানুষটা থেকে স্রোত সবসময় পালিয়ে যেতে চেয়েছে, তার সাথেই এক সূত্রে বাঁধা পড়া কি আদৌ সম্ভব হবে স্রোতের কাছে?
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যায়, নিজের মধ্যে থাকা সমস্ত অভিমান অভিযোগ সবটা রাইকে খুলে বললো অনির্বাণ। সব শুনে রাই অনির্বাণকে বলে, “আমার জন্মদিনের দিন সবকিছু ঠিক ছিল। তারপর সৌর্যকে দেখে আর ওর দাদা বৌদির কথা শুনে আমার প্রতি তোমার ব্যবহার সম্পূর্ণ বদলে গেছিল। তারপর আবার স্রোতের কথায় তুমি নিজের ভুল বুঝতে পারো। এভাবে বারবার তুমি তোমার নিজস্ব মতামত বদলেছো। তাহলে আমি কি করে বুঝবো যে তুমি সেদিন আমাকেই বিয়ের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছিলে!” নিজের ভুলটা বুঝতে পারে অনির্বাণ। আর তারপর রাইকে জড়িয়ে ধরে কখনো না ছেড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে সে।
এদিকে সার্থকের বাবা ডঃ উজ্জ্বল সেনগুপ্ত স্রোতকে বলে, “আমার ছেলেটা এখনো পুরোপুরি পাসান হয়ে যায়নি। পারলে তুই পারবি ওকে পাল্টে দিতে। একটু চেষ্টা করে দেখেনা মা। ওর কোন বন্ধু নেই।” এসব শুনে স্রোত বলে সে কথা দিতে পারছে না কিন্তু অবশ্যই চেষ্টা করবে। এরপর নিজের বাড়িতে স্রোতকে দেখে আবার অপমান করে সার্থক। কিন্তু স্রোত তার যোগ্য জবাব দেয়। সে বলে, “অন্তত এই সময়টা বাবার পাশে দাঁড়ান। ছেলে হিসেবে না হোক একজন ডাক্তার হিসেবে থাকুন অন্তত।”
এদিকে, রাই নীলাঞ্জনার বিষয়টা নিয়ে সৌর্যর সাথে কথা বলবে বলে তাকে ফোন করে। রাই তাকে অফিসের পর দেখা করতে বলে। সৌর্য রাতে রাজি হয়ে যায়। অনির্বাণ অবশ্য সৌর্যর সাথে রাইয়ের একা দেখা করার বিষয়টা নিয়ে খানিক আপত্তি দেখায় কিন্তু রাই যখন তাকে গোটা বিষয়টা বুঝিয়ে বলে সে বুঝতে পারে। রাই চায়, তার বিয়ের আগেই যেন নীলাঞ্জনার সাথে সৌর্যের সম্পর্কটা আবার জুড়ে যায়।