আমরা অবাঙালি বা বিদেশিদের নিয়ে যতটা মাতামাতি করি, নিজেদের দেশের মানুষগুলোকে, তাদের কাজকে, শিল্পকে কি ঠিক ততটাই কদর দিই? বিস্ফোরক প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র । তবে আচমকা কেন এমন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন শ্রীলেখা?
এই মুহূর্তে নেটমাধ্যম সরগরম অনুসূয়া সেনগুপ্ত ও পায়েল কাপাডিয়াকে নিয়ে চলছে জোর চর্চা। বিশ্ব দরবারে, কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে ভারতের মুকুটে নয়া পালক লাগিয়েছে দুজন ভারতীয় মহিলা। ‘দ্য শেমলেস’ ছবির জন্য অনুসূয়য়া ‘আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।
অপরদিকে, পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া তাঁর ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’ পেয়েছেন গ্রাপি পুরস্কার। তবে অনুসূয়াকে নিয়ে উচ্ছ্বাস বেশি। কারণ তিনি কলকাতার মেয়ে। এ নিয়ে যদিও অভিনেত্রীর অনুযোগ নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, “ওঁদের সাফল্য থাকুক, তবে আমরা নিজেদের চারিদিকে যাদের ট্যালেন্ট দেখতে পাই, তাদের কৃতিত্বকে যোগ্য সম্মান দিই কি?”
কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে ইন্দিরা বসুর ‘পুতুল’ ছবির কথা। শ্রীলেখা বলেন, ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শত হয়। যে ছবিটিতে মমতাজ সরকার অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন। অপরদিকে, তাঁর অভিনীত ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন কলকাতা’ ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিল। তবুও সাড়া জাগাতে পারেনি দর্শকমহলে।
অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘আসলেই আমাদের গর্ব করা উচিত। একজন অবাঙালি এবং একজন অ-ভারতীয় তাদের মধ্যে প্রতিভা খুঁজে পেয়েছিল যা আমরা স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তাহলে আসুন পুতুলকে ভুলে যাবেন না যেটি কানে প্রিমিয়ার হয়েছিল এবং আমাদের নিজস্ব মমতাজ সরকার বাকি বিশ্ব তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার আগে। আমাকে মনে করিয়ে দেয় ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ভেনিসের কথা …..অবশ্যই আপনি ঠিক ভুলে গেছেন …আমি ঠিকই ছিলাম।’
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন,’কান সম্পর্কে আমার অজ্ঞতা পরবর্তী ক্ষমা সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। মুমতাজের চলচ্চিত্রটি কানে প্রিমিয়ার হয়েছিল কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে ছিল না যেখানে ওকুয়াটিক ছিল। তারপরও আমার বক্তব্য ছিল কখন আমরা সমস্ত বিভাগে আমাদের ঘরের প্রতিভা সম্পর্কে প্রশংসা করব? ভাল পরিচালকদের মূল্যায়ন করা এবং তাদের নয় যারা তাদের নায়িকাদের উপর নির্ভর করে বাজার থেকে ফিনান্সার পাওয়ার জন্য নিজেদেরকে কাস্ট করার জন্য…।’