ছোট বেলায় পরীক্ষা দিতে যাওয়া বা কোনো শুভ কাজে যাওয়ার আগে মায়েরা এক চামচ দই খাইয়ে পাঠায়।আমরা প্রথমে ভাবতাম এটি এমনি হয়তো কোনো কুসংস্কার ।কিন্তু এই দই খাওয়ার পিছনে এক বৈজ্ঞানিক কারণ ফুটে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে দইয়ের উপকারিতার কথা মাথায় রেখেই প্রাচীনকাল থেকেই এই রীতি চালু হয়েছে।
আসলে দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এছাড়াও দইয়ে থাকে ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি সিক্স, এবং ভিটামিন বি ১২-এর মতো পুষ্টিগুণ। যে কারণে দই খেলে শরীরের এনার্জি লেভেল ঠিকঠাক থাকে।কোনো শুভ কাজ করতে গেলে আমাদের সবসময় এক এনার্জির দরকার তাই কোনো কাজ করতে যাওয়ার আগে দই খেয়ে বের হয় ।
এছাড়া দই খেলে আমাদের এই এই উপকার হয় –
১.দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।
২.নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
৩.খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে দই।
৪.দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
এসব জেনে বোঝা যায় ,শুভ কাজের আগে দই খাওয়া কোনো কুসংস্কার নয় বস্তুত শরীরের ভালোর জন্য খাওয়া হয় ।