প্রতিটি মানুষ জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সম্পদ এবং জাঁকজমক পেতে কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু অনেক সময় একজন মানুষের পরিশ্রমের টাকা জলের মত কোনো কারণ ছাড়াই খরচা হয়ে যায়। তবে এই খরচের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে নিই সেই প্রতিকার।
জ্যোতিষ শাস্ত্রে জীবনের সমস্ত খারাপ সময় দূর করতে অনেক ধরনের উপায় বলা হয়েছে। যদি সেই উপায়গুলো কেউ সঠিক ভাবে মানতে পরে তাহলে তার জীবনের সমস্ত খারাপ দিক দূর হয়ে যাবে। ভোপালের বাসিন্দা জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শক পন্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা লবঙ্গের কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার বলছেন। এগুলো মেনে চললে জীবন থেকে অর্থ সঙ্কট দূর হয়।
তার মধ্যে এটা শ্রাবণ মাস। এই মাস বাবা মহাদেবের মাস। এই মাসে শিবের চরণে লবঙ্গ অর্পণ করুন। শিবের পুজোর সময় ওম নমঃ শিবায় যখন মন্ত্র জপ করবেন তখন একটি তামার কলসী থেকে শিবের মাথায় জল ঢালুন। তারপর শিবের কাছে ২টি লবঙ্গ নিবেদন করে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। এই প্রতিকারে আপনার আর্থিক সংকট দুর হবে।
এছাড়াও আর্থিক সংকটের সমাধান হিসাবে জ্যোতিষশাস্ত্রে আরও এক উপায় আছে। এর জন্য আপনার মাথার উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ৫টি লবঙ্গ এবং ৫টি কালো মরিচ ফেলে দিন। এই লবঙ্গ গুলো এমন জায়গায় ফেলে দিন যেখানে কেউ যাওয়া আসা করে না। এমনকি যখন ফেলবেন তখন পিছনের দিকে না তাকিয়ে ফিরে আসুন।
অন্যদিকে, আবার অনেক সময় পারিবারিক অশান্তি বৃদ্ধি হয়। যার জন্য বাড়িতে সবসময় সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়।তখনই বুঝতে হবে বাড়িতে নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আর এর হাত থেকে মুক্তি পেতে ৭-8৮টি লবঙ্গ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
আর যদি একান্তই কোনো কারণে লবঙ্গ পোড়ানো সম্ভব না হয়, তখন ঘরের যে কোন কোণে ৭-৮টি লবঙ্গ রাখুন। আর ভগবানের পূজার সময় ২ জন মিলে আরতি করতে হবে। এই প্রতিকারে সংসারে শান্তি বজায় থাকবে। এছাড়াও আপনার বাড়ি থেকে সব নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে যাবে।