১৯ বছর পর সেই স্বপ্নের মাহেন্দ্রক্ষণ! ডুরান্ড ফাইনালে East Bengal vs Mohun Bagan

চলতি ডুরান্ড কাপে অপরাজেয় তকমা ছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। সেই দলকেই টাইব্রেকারে ৫-৩ হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল চলে গিয়েছে ডুরান্ড ফাইনালে ! গত মঙ্গলবার যুবভারতীতে কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে জ্বালিয়ে রেখেছেন লাল-হলুদ মশাল। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা চেয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট যুবভারতীতে ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে, এফসি গোয়াকে হারিয়ে দিক। আর ঠিক সেটাই ঘটল। সবুজ মেরুন ২-১ গোলে এফসি গোয়াকে হারিয়ে দিল। চলে এল সেই প্রতীক্ষিত মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী রবিবার কাপযুদ্ধের ফাইনালেই সেই বড় ম্য়াচ। ১৯ বছর পর ফের ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি হবে। শেষবার ২০০৪ সালে ডুরান্ড জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তারা ২-১ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগানকে। সুবজ-মেরুন শেষবার ডুরান্ড জেতে ২০০০ সালে। দুই দলেরই রয়েছে ১৬টি করে ডুরান্ড। এবার যে জিতবে সেই এগিয়ে যাবে এক কদম।

এদিন ম্যাচের শুরুতে মোহনবাগানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মাঠে। রীতিমতো চাপে রেখেছিল এফসি গোয়া। সব দিক দিয়েই এগিয়ে ছিল গোয়া। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই জোড়া আক্রমণের মুখে পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগান রক্ষণ। তবে ম্যাচের ১৬ ও ১৭ মিনিটে জেসন কামিংস ও দিমিত্রি পেত্রাতোস গোলের মুখ খুলেই ফেলেছিলেন। তবে ২২ মিনিটে ২২ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের বিরল ভুলে এগিয়ে যায় গোয়া। বুমোসের দুর্বল শট ধরে খানিকটা দৌড়ে যান নোয়া। এরপর দূর থেকে নেওয়া শটে বিশাল কাইথকে পরাস্ত করেন তিনি। যদিও গোয়ার ফুটবলারদের উচ্ছ্বাস দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৯ মিনিটে আশিক কুরুনিয়ানকে ফাউল করায় মোহনবাগান পেনাল্টি পেয়ে যায়। যদিও এই পেনাল্টিতে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জেসন কামিংস গোল করতে কোনও ভুল করেননি। বিরতিতে স্কোরলাইন থাকে ১-১।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে হুগো বুমোসকে তুলে আর্মান্দো সাদিকুকে নামায় ফেরান্দো। মাঠে নামার চার মিনিটের মধ্যেই আলবেনিয়ান ফরোয়ার্ড গোল করেন। সন্ধেশ ঝিঙ্গনের ভুলে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান সাদিকু। দূর থেকে দারুণ শটে গোল করেন তিনি। ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়া মোহনবাগান আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলা চালিয়ে গিয়েছিল। ম্য়াচের ৮৭ মিনিটে সাদিকু দারুণ একটা মাইনাস করেছিলেন। তবে গোলে বল রাখতে পারেননি সাহাল। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর আরও আট মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে খেলা দারুণ জমে উঠেছিল। ৯১ মিনিটে জয় গুপ্তর ভয়ংকর হেড যদি কাইথ রুখে দিতে না পারতেন, তাহলে বিপদ ঘটে যেতে পারত। এমনকী ৯৮ মিনিটে বর্জেসের একটি কর্নারও প্রায় টার্গেটে ছিল। কিন্তু ম্যাচের রং আর বদলায়নি। ফেরান্দোর শিষ্যরা হেসে খেলেই চলে যায় ফাইনালে।

Latest articles

Related articles

spot_img