যখন তখন তাইওয়ানকে অ্যাটাক করবে চীন? চীনকে ঠেকাতে “বিশেষ যন্ত্র” তৈরি করছে তাইওয়ান। তাই বলে কিয়েভের ফর্মুলা চুরি? রাতদিন এক করে এই দ্বীপেই তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার ড্রোন। ড্রাগন বধের ছক কষছে তাইপে। টার্গেট ২০২৪! তাহলে আরও একটা যুদ্ধ দেখবে গোটা বিশ্ব? এবার কী সম্মুখ সমরে চীন তাইওয়ান? চীনের সঙ্গে পেরে ওঠা এতই সোজা? এই ড্রোন সাপ্লাই চেন ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর? ইউক্রেনের দেখানো পথে হেঁটে আদৌ সফল হবে তো তাইওয়ান?
পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। ঘন ঘন চীন থেকে তাইওয়ানের দিকে উড়ে যাচ্ছে ড্রোন, যুদ্ধবিমান। প্যালপিটিশন বাড়ছে তাইওয়ানের। রিস্ক বাড়ছে। যখন তখন চীন তাইওয়ান অ্যাটাক করতে পারে। এটা ধরে নিয়েই চীনকে মোকাবিলায় যুদ্ধের রসদ জোগাচ্ছে তাইওয়ান। কিয়েভের রণকৌশল মনে ধরেছে। তাইপে চীনের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। ড্রোন কেন্দ্রিক প্রতিরোধে জোর দিচ্ছে তাইওয়ান। তৈরী হচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ আগ্রাসী ড্রোন। যদিও, তাইওয়ান শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। কারণ চীনে ষাটের দশক থেকেই ড্রোন তৈরি এবং এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই চালকবিহীন বিমান এবং ড্রোন তৈরিতে কাজ শুরু করেছে বেইজিং। তাইওয়ান এ বিষয়ে নতুন শুধু নয়, কিছুটা অনভিজ্ঞও। তাই চীন তাইওয়ানের মধ্যে বিস্তর তফাৎ।
চীনের কাছে মজুত ড্রোনে কমপক্ষে ৫০ ধরনের বৈচিত্র রয়েছে। সেখানে তাইওয়ানে আছে মাত্র চার ধরনের ড্রোন। সেগুলোর সংখ্যাও খুব বেশি না। ফলে ড্রোন আধিপত্যে এগিয়ে যেতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় দ্বীপটির বাণিজ্যিক ড্রোন নির্মাতা এবং বিমান ও মহাকাশ সংস্থাগুলো যৌথভাবে কাজ করছে। দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছে। যত দ্রুত সম্ভব হাজার হাজার ড্রোন তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য। টার্গেট ২০২৪, তার মধ্যেই ৩০০০ এরও বেশি সামরিক ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে তাইওয়ান। এর মধ্যে থাকছে ২ কিলোগ্রামেরও কম ওজনের মিনি ড্রোন। তাইওয়ানে তৈরি ড্রোনগুলি আকারে ছোট হলেও যুদ্ধের বিশাল ট্যাঙ্কার নিমেষে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম সেগুলো। ছোট ড্রোন ছাড়াও আছে দেড়শ কিলোমিটার পর্যন্ত নজরদারি রাখতে সক্ষম বড় ড্রোন।
আসলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর গোটা বিশ্ব ড্রোনের গুরুত্ব দেখেছে বুঝেছে!ষ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বেসামরিক এবং সামরিক সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ড্রোন, দাবি তাদের আসলে, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। তাই, চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় তারাই আপাতত তাইওয়ানের সামনে ‘আদর্শ’। তাই, তাইওয়ানের প্রতি চীন যখন অতিরিক্ত আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, সামরিক মহড়ার মাত্রা যখন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তখন তাইওয়ান চীনকে ঠেকাতে জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও, এসব ড্রোন চীনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী হবে সেটা বলবে সময়।