জি বাংলার ন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ । বর্তমানে ধারাবাহিকে আরও অনেক চরিত্রের সমাবেশ ঘটেছে, আর তাদের ঘিরেই ধারাবাহিকের কাহিনী আবর্তিত হচ্ছে। বর্তমানে ধারাবাহিকে উপস্থিত হয়েছে শতদ্রুর মা। এতদিন শিমুল নিজের স্বামী-দেওরের কাছে অপমানিত হচ্ছিল, এবার সে অপমানিত হল শতদ্রুর মার কাছে। শতদ্রুর মার কথায় তেড়ে এল মধুবালা।
যারা ধারাবাহিক দেখেন, তারা জানেনই শিমুলের প্রোগ্রাম শেষ হয়ে যেতেই শতদ্রুর মা শিমুলের সাথে দেখা করতে আসে, তারপর সবার সামনে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করে। এরপর শিমুল সিদ্ধান্ত নেয়, সে শতদ্রুর জীবন থেকে চলে যাবে। আর শতদ্রুকেও সেটাই জানায়। শতদ্রুও বলে দিয়েছে, সেও আর নিজে থেকে ফিরবে না।
কিন্তু শতদ্রু মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা শিমুলের চলে যাওয়া। শতদ্রুর মা বারবার শতদ্রুকে অন্য মেয়ের কথা বলে, কিন্তু তাও শতদ্রু রাজি হয় না। এরপর শতদ্রুর মা পৌঁছে যায় শিমুলের বাড়ি। দরজা নক করতেই শিমুল গিয়ে দরজা খোলে। অবাক হয়ে প্রশ্ন করে, ‘কাকিমা এখানে? এটা আমার শ্বশুর বাড়ি’। তখন শতদ্রুর মা বলে, ‘তোমার মতো বেহায়া মেয়ের জন্য এখানে আসা দরকার’।
মধুবালা দেবী বলেন, আপনার যা বলার আছে আমাকে বলুন। ওকে কিছু বলবেন না। এরপর শতদ্রুর মা বলেন, আমার ছেলের মাথা খাচ্ছে, সংসার নষ্ট করছে এই মেয়েই। এই মেয়ের জন্য আমার ছেলে আমার সংসার ছেড়ে দেবে। তুমি শ্বশুর বাড়ির সকলের কাছে ভালো সাজছ, আর বাইরে নোংরামি করছ আমার ছেলের সাথে।
আমার ছেলেকে ছাড়ার জন্য তুমি কত টাকা নেবে বল, আমি সেই টাকাগুলো নিয়ে এসেছি। আমার ছেলের জন্য ভালো মেয়ে দেখেছি, ওই মেয়েটার জন্য আমার ছেলে বিয়েতে রাজি হচ্ছে না। এইসব কথা শুনে মধুবালা দেবী বলেন, ‘আপনার এত সাহস কি করে হয় আপনি বাড়ি বয়ে এসব কথা বলতে এসেছেন?’ শুধু মধুবালা দেবী নয়, পুতুল, কাকিমা সকলেই শিমুলের পাশে দাঁড়ায়। পরাগ-পলাশ শিমুলকে নীচে নামানোর চেষ্টা করে।