বিশ্বের যে সকল শিল্পপতি রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম শিল্পপতি হিসাবে পরিচিত ভারতের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। মুকেশ আম্বানি এশিয়ার শিল্পপতিদের মধ্যে অধিকাংশ সময়ে ধনকুবেরদের তালিকায় ১ নম্বর টানে থাকেন, বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় তার স্থান থাকে প্রথম সারিতেই। এমন একজন শিল্পপতির বাড়িতে প্রতি মাসে কত ইলেকট্রিক বিল (Mukesh Ambani’s Electric Bill) আসে তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতুহল রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হওয়ার পাশাপাশি মুকেশ আম্বানির যে বাড়ি রয়েছে অর্থাৎ অ্যান্টেলিয়া, সেটিও কিন্তু বিশ্বের অন্যতম বাড়ি হিসেবে সবসময় বিবেচিত হয়ে থাকে। ২৭ তলার এই বাড়িতে যা রয়েছে তাতে আম্বানি পরিবারের সদস্যদের কাউকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে হয় না। বাড়ির মধ্যেই রয়েছে ৫০ জন এক সঙ্গে সিনেমা দেখার মত একটি সিনেমা হল, ৯টি বড় বড় লিফটের পাশাপাশি সুইমিং পুল, তিনটি হেলিপ্যাড, ১৬০টি গাড়ি পার্কিং করার মত জায়গা ইত্যাদি।
মুকেশ আম্বানির বাড়ির এমন ব্যাপক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন। রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও পরিবারের সদস্যদের সমস্ত রকম চাহিদা মেটানোর জন্যও প্রচুর সংখ্যক কর্মী লাগবে এটাই স্বাভাবিক। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, মুকেশ আম্বানির বাড়িতে অন্ততপক্ষে ৬০০ থেকে ৭০০ জন কর্মী বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত। স্বাভাবিকভাবে এমন একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ খরচ (Mukesh Ambani’s Electric Bill) অনেকটাই বেশি হবে, স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিল অনেক আসবে।
একটি রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, মুকেশ আম্বানির বাড়িতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয় তা মধ্যবিত্ত ৭ হাজার পরিবারের সমান। একবার ভেবেই দেখুন ৭ হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারের সমান বিদ্যুৎ বিল মুকেশ আম্বানির বাড়িতে খরচ হলে তা কত ইউনিট হতে পারে? ওই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে মুকেশ আম্বানির বাড়িতে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে আনুমানিক ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৪০ ইউনিট। মুকেশ আম্বানির বাড়ির এক একটি রুমেই গড়ে বিদ্যুৎ খরচ হয় ৩০০ ইউনিট প্রতি মাসে।
মুকেশ আম্বানির বাড়িতে অত্যাধুনিক পার্কিং থেকে শুরু করে উন্নতমানের এয়ার কন্ডিশন এবং অন্যান্য একাধিক সুযোগ-সুবিধার কারণেই এত বিদ্যুৎ খরচ হয় বলে জানা যাচ্ছে। আর এর জন্য মুকেশ আম্বানিকে বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ হিসাবে প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। যদিও বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচের কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ আম্বানিকে ৪৮ হাজার ৩৫৪ টাকা ছাড় দিয়ে থাকে।