গর্ভবতী নয় নীলু ,কী ভাবে জানলো তার স্বামী ? মিথ্যা চুরির দায়ে রাইকে ফাঁসিয়ে দিলো সুদীপ্ত !

সব মিথ্যের একদিন না একদিন অবসান ঘটে। এতদিন ধরে অনেক বড় একটা মিথ্যা কথা পরিবারের সকলকে বলে এসেছে জি বাংলার মিঠিঝোড়া ধারাবাহিকের অন্যতম নেতিবাচক চরিত্র নায়িকা রাইয়ের বোন নিলু। কিন্তু এবার খুব তাড়াতাড়ি তার সমস্ত মিথ্যে ধরা পড়তে চলেছে সবার সামনে। বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকের প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে আর আরাত্রিকা মাইতিকে।

ধারাবাহিকের বর্তমান প্লট অনুযায়ী, রাই অর্থাৎ ধারাবাহিকের নায়িকা নিজের অফিস নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তার মধ্যে সুদীপ্ত নামক আরো এক পথ এসে জুড়ে বসেছে তার জীবনে। যার স্বভাব চরিত্র কোন কিছুই ভালো নয়। আর এইদিকে নিলুর সমগ্র শশুর বাড়ি তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার পিছনে আদা জল খেয়ে পড়ে রয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও আর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেল না নিলু।

ধারাবাহিকের পর্বে দেখা যায়, নিজের স্বামীর সাথে নিলু চলে এসেছে ডাক্তারের কাছে। সেখানে গিয়ে ভীষণ চিন্তা হতে থাকে তার। কারণ ডাক্তার দেখলেই সবটা ধরে ফেলবে এটা সে খুব ভালো করেই জানে। সৌর্যকে নিলু বলে, তার এখানকার বাথরুমটা পছন্দ হচ্ছে না তাই সে বাড়ি যেতে চায়। সৌর্য বলে, সে কাউকে বলে সবটা পরিষ্কার করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার তাকে আজকে দেখাতেই হবে। নিলু বুঝে যায় আজই হয়তো তার শ্বশুরবাড়িতে শেষ দিন।

এরপর ডাক্তারের কাছে যেতেই ডাক্তার তাকে সমস্তটা জিজ্ঞাসা করে। নিলু এতদিন সবাইকে যা বলে এসেছে ডাক্তারকেও তাই বলে। এরপর ডাক্তার আলাদা করে নিলুর চেকাপ করে কিন্তু বিশেষ কিছু বুঝতে পারেনা। সে বলে, প্রথম মাসে তেমন কিছু বোঝা যায় না তবে অনেকগুলো টেস্ট দেওয়া হল। সেগুলো যেন করিয়ে দেওয়া হয়। সৌর্য নিলুকে বলে, সে শুধু শুধু এত ভয় পাচ্ছিল। নিলু মনে মনে ভাবতে থাকে, এবার তো আরো অনেক বড় বিপদ হল। টেস্টগুলো করানো হলেই তার সমস্তটা ধরা পড়ে যাবে। আর বোধহয় বাঁচার কোন উপায় থাকবে না। আর ডাক্তার দেখানো হয়েছে মানে টেস্ট তো হবেই।

রাইকে চোর বানিয়ে ছাড়লো সুদীপ্ত


রাইকে তার সহকর্মীরা অনেকটাই সাবধান করে দেয়। তারা বলে সুদীপ্ত একজন পাক্কা ধরিবাজ লোক। তার উপর ওনার স্বভাব চরিত্র ভালো না অনেক কেস রয়েছে। সে যেন একটু সামলে থাকে। এটা নিয়েই চিন্তা করতে থাকে রাই। এমন সময় তাকে ফোন করে সুদীপ্ত আর বলে, তার টেবিলের ড্রয়ারে একটা সাদা খাম রয়েছে, ওটা যেন সে ব্রজকে দিয়ে দেয়। রাই এটা একদম করতে চায়নি কিন্তু যেহেতু অফিসের বস এটা বলেছে তাই তাকে করতেই হয়। কিন্তু এটা নিয়ে বেশ খচখচ করতে থাকে তার মন। সে যখন বাড়িতে এসে স্রোতকে সবটা বলে, স্রোতও একই কথা বলে। তার যখন মন চাই দিচ্ছিল না তখন কিছুতেই রাই এর এটা করা উচিত হয়নি। এদিকে অনির্বাণ আবারও সুদীপ্তকে জিজ্ঞাসা করে সে কি টাকাটা জমা করেছে? সুদীপ্ত বলে আজই করে দেবে এই বলে সেই সাদা খামটা নিয়ে আসতে বলে ব্রজকে। কিন্তু সেখানে কোন টাকা নেই। তারমানে টাকাগুলো চুরি হয়েছে। অনির্বাণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখার সিদ্ধান্ত নেয়।

Latest articles

Related articles

spot_img