প্রতিবছরের মত এ বছরও দুর্গা পুজোর আগে থেকেই মানুষের মুখে একটাই কথা শোনা গিয়েছিল, পুজোয় কি বৃষ্টি হবে? গত দুই সপ্তাহে যেভাবে ঝড় বৃষ্টি র মুখে পরেছিল পশ্চিমবঙ্গ তাতে পুজো অবধি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সকলের মনে। সেই আশঙ্কাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে নিউজ এইট্টিন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে আপাতত কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পুজোয় আবহাওয়া বেশ ফুরফুরে থাকবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরে একটানা বৃষ্টিতে ব্যাহত হয়েছিল জনজীবন। পুজোর সময় বা পুজোর আগে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করেছিলেন তাদের কপালে দেখা গিয়েছিল চিন্তার ভাঁজ। চিন্তার ভাঁজ দেখা গিয়েছিল পুজো উদ্যোক্তাদের কপালেও। তবে এবার সেই সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে শোনা গেল সুখবর।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তবে উত্তরবঙ্গে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী শনিবার অর্থাৎ মহালয়ার দিন মানুষ নির্বিঘ্নে তর্পণ করতে পারবেন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত রয়েছে শুষ্ক আবহাওয়া। বৃষ্টি বিদায় নেবার পর রয়েছে কিছু আদ্রতাজনক অস্বস্তি যা আগামী দিনে ধীরে ধীরে কমে যাবে।
ইতিমধ্যেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে ঝাড়খন্ড এবং বিহার থেকে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বর্ষা বিদায় নেবে বলে জানা গেছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত দুই দিনে শুষ্ক আবহাওয়ার সাথে সাথে বেড়েছে তাপমাত্রার পারদ।
তবে আবহাওয়া দপ্তরের সূত্র থেকে আরও খবর পাওয়া গেছে, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে চলেছে তবে এই ঘূর্ণাবর্ত কোন দিকে অগ্রসর হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে মায়নামার উপকূলের কাছে এই ঘূর্নাবর্তটি তৈরি হতে পারে। তবে এই ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হবার ফলে বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং হুগলিতে হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। তবে ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতর আরো জানিয়েছেন, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি এই ঘোষণা গর্তের প্রভাব পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। কালিম্পং-এর কয়েকটি এলাকায় হতে পারে মাঝারি থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত। বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরে। তবে যেহেতু এটি কোন নিম্নচাপ নয়, তাই একটানা বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই কোথাও।